,

বিএনপির চমকের অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা

সময় ডেস্ক ॥ বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডন সফরকে নিয়ে রাজনৈতিক সহ সব মহলেই চলছে নানা গুঞ্জন। বিশ্লেষকদের ধারণা দেশে ফিরে বিরাট এক চমক দেখাবেন খালেদা জিয়া। আর বিএনপিতে আসতে পারে আমূল পরিবর্তন। তবে সেই চমক কি হবে তা এখনো খালেদা তারেকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। শুধু বিশ্লেষকরাই নয়, বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাও একই কথা বলছেন। তবে এই পরিবর্তনে খুব একটা খুশিও নয় অনেকে। কারণ দলে পরিবর্তন আনতে হলে উঠে আসবে নতুন মুখ। তরুন নেতৃত্ব। হবে আগাছা ছাঁটাই। আর এই ছাঁটাইয়ের তালিকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাও রয়েছেন, এমন ধারণা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের। বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, বিএনপিতে ঠিক কি ধরণের পরিবর্তন আনা হবে তা এখনো বিএনপি চেয়ারপারসন কারো সঙ্গে শেয়ার করেননি। তবে চেয়ারপারসন দেশে ফিরে এলেই হয়তো দলের সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন। ২ অথবা ৫ অক্টোবর চেয়ারপারসন দেশে ফিরতে পারেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার একটি জাতীয় দৈনিককে বলেছেন, ‘দেশে ফিরে খালেদা জিয়া চমক দেখাবেন- এটা সময়ই বলে দেবে। তবে তিনি দেশে ফিরে দল পুনর্গঠনে হাত দেবেন। নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে দলের নেতৃত্ব তৈরি করবেন। এটা একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। কিছু ইয়াং লিডারশিপও আসবে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের কাউন্সিল হয় না। সে বিষয়েও একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে। দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে তারুণ্যের জোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটাও একটা চমক হতে পারে। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোও একটি চমক হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ মনে করেন, অবশ্যই খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু দলকে গতিশীল করতে যেসব সিনিয়র দক্ষ রাজনীতিবিদ রয়েছেন, তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা উচিত। এখানে তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। আর অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাও রাজনৈতিক দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লন্ডন সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমানের বাসায় নেতা-কর্মীদের যাওয়া আসায় নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কাউকে ডাকা হয়। ঢাকা থেকে যাওয়া নেতারাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। একদিন তারেক রহমানের বাসায় তারা গিয়েছেন। এ ছাড়া পরিবারকে নিয়েই সময় কাটছে বেগম জিয়ার। স্থানীয় এক হাসপাতালে তিনি চোখের চিকিৎসাও করাচ্ছেন। তবে বিএনপি’র একাধিক সূত্র দাবি করে বলেছেন, দলের জোয়ার ভাটার মধ্যেও মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এগিয়ে রয়েছেন। তাই ভারমুক্ত হবার পথেই তিনি। বিএনপির চমকের মধ্যে হতে পারে এটাও এক চমক।


     এই বিভাগের আরো খবর